SEO শেখার সম্পূর্ণ রোডম্যাপ (বাংলায়)
Step 1: SEO সম্পর্কে বেসিক ধারণা নেওয়া:
- SEO হলো এমন প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজকে সার্চ ইঞ্জিনে (যেমন Google, Bing) ভালোভাবে র্যাঙ্ক করানো যায়। সহজভাবে বললে, SEO করলে একটি ওয়েবসাইট সার্চ রেজাল্টে উপরের দিকে আসে এবং বেশি ভিজিটর পায়।
- SEO (Search Engine Optimization) গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি একটি ওয়েবসাইট বা অনলাইন কনটেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনে উপরের দিকে আনার মাধ্যমে বেশি ভিজিটর আনার সুযোগ তৈরি করে। নিচে SEO কেন গুরুত্বপূর্ণ তা বিস্তারিতভাবে বোঝানো হলো:
২. বিশ্বাসযোগ্যতা ও ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ায়
৩. বিজ্ঞাপনের খরচ কমায়
পেইড বিজ্ঞাপনের (যেমন Google Ads) খরচ অনেক বেশি হয়। কিন্তু SEO করলে একবার
কনটেন্ট অপটিমাইজ করে দিলে সেটি অনেকদিন পর্যন্ত সার্চে র্যাঙ্ক করে, ফলে কম খরচে
ফল পাওয়া যায়।
৪. বাজার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সাহায্য করে
তোমার প্রতিযোগীরা যদি SEO করে তাদের ওয়েবসাইটকে গুগলে প্রথমে আনছে, আর তুমি না করো, তাহলে তারা সব ভিজিটর নিয়ে নেবে। তাই টিকে থাকতে চাইলে SEO করতেই হবে।
৫. লিড ও বিক্রি (Sales) বাড়ায়
যদি তুমি কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করো, তাহলে SEO-এর মাধ্যমে আগ্রহী মানুষদের ওয়েবসাইটে এনে বিক্রি বাড়ানো যায়। এটি বিশেষভাবে ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং-এর জন্য
উপকারী।
৬. দীর্ঘমেয়াদে ফল দেয়
১. Crawling (তথ্য খোঁজা/ঘোরা)
সার্চ ইঞ্জিনের বট (যাকে বলা হয় crawler বা spider) ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঘোরে এবং নতুন তথ্য খোঁজে।
- যেমন: নতুন ওয়েবপেজ, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি।
- তারা এক লিংক থেকে আরেক লিংকে গিয়ে সারাবিশ্বের ওয়েবসাইট ঘেঁটে বেড়ায়।
২. Indexing (তথ্য সংরক্ষণ করা)
Crawler যেসব তথ্য খুঁজে আনে, সেগুলো বিশ্লেষণ করে সার্চ ইঞ্জিন একটা বিশাল ডাটাবেজে সংরক্ষণ করে। এটিকে বলে index।
- প্রতিটি পেজের বিষয়বস্তু, শব্দ, টাইটেল, ছবি, কীওয়ার্ড—সবকিছু এখানে সংরক্ষিত থাকে।
৩. Ranking (ফলাফল সাজানো)
- পেজে কীওয়ার্ড আছে কিনা
- ওয়েবসাইটের মান
- কতজন মানুষ পেজটি পড়ে
- পেজটি কবে আপডেট হয়েছে
- ব্যবহারকারীর অবস্থান (লোকেশন)
- এবং আরও অনেক অ্যালগরিদমের উপর।
৪. Results Display (ফলাফল দেখানো)
শেষে, সার্চ ইঞ্জিন ফলাফলগুলোকে সাজিয়ে Search Engine Result Page (SERP)-এ তোমার সামনে দেখায়।
- এই পেজে থাকে: ওয়েবসাইট লিংক, সংক্ষিপ্ত বিবরণ, কিছু ছবিও।
সংক্ষেপে:
ধাপ | কাজ |
---|---|
1. Crawling - | ওয়েবসাইট ঘেঁটে তথ্য খোঁজা |
2. Indexing - | তথ্য বিশ্লেষণ করে ডাটাবেজে রাখা |
3. Ranking - | সবচেয়ে উপযুক্ত তথ্য খুঁজে বের করা |
4. Display - | ফলাফল ইউজারকে দেখানো |
জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনগুলো:
Google (সবচেয়ে জনপ্রিয়)
Bing (Microsoft)
Yahoo
DuckDuckGo (গোপনীয়তার জন্য জনপ্রিয়
Yandex (রাশিয়ান)
Baidu (চাইনিজ)
Title Tag – পেজের টাইটেল যেমন Google-এ দেখা যায়
➤ যেমন:<title>সেরা SEO গাইড ২০২৫</title>
-
Meta Description – পেজ সম্পর্কে ছোট বিবরণ
➤ Google সার্চে টাইটেলের নিচে দেখায়। -
URL Structure – ওয়েব ঠিকানা পরিষ্কার ও ছোট হওয়া উচিত
➤ যেমন:example.com/seo-guide
ভালো, কিন্তুexample.com/page12345
খারাপ। -
Keywords ব্যবহার – টার্গেট কীওয়ার্ডগুলো সঠিকভাবে
➤ টাইটেল, হেডিং (H1, H2), কনটেন্টে। -
High-Quality Content – ভালো মানের, ইনফরমেটিভ কনটেন্ট লিখা
-
Image Optimization – ছবির Alt Text ও ছোট ফাইল সাইজ
➤ Google যেন ছবির বিষয় বুঝতে পারে। -
Internal Linking – নিজের সাইটের অন্যান্য পেজের লিংক দেওয়া
➤ যেমন: "আমাদের [SEO টুলস গাইড] দেখুন।"
Backlinks (লিংক বিল্ডিং) – অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে তোমার সাইটে লিংক আসা
➤ যেমন: একজন ব্লগার তার পোস্টে তোমার ওয়েবসাইটের লিংক দিয়েছে।-
Social Sharing – সোশ্যাল মিডিয়ায় কনটেন্ট শেয়ার
➤ ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন, ইউটিউব ইত্যাদি। -
Guest Blogging – অন্যের ব্লগে পোস্ট লিখে নিজের সাইটের লিংক দেওয়া।
-
Influencer Marketing – পরিচিত লোকজন তোমার কনটেন্ট শেয়ার করলে।
-
Brand Mentions – ইন্টারনেটে কেউ তোমার ব্র্যান্ডের নাম উল্লেখ করলেই সেটা Google ধরে।
Website Speed (Pagespeed) – সাইট যেন দ্রুত লোড হয়
➤ GTMetrix বা PageSpeed Insights দিয়ে চেক করা যায়।-
Mobile-Friendliness – মোবাইলে সাইটটা ভালোভাবে দেখায় কিনা
-
SSL Certificate (HTTPS) – সাইট নিরাপদ কিনা (https://)
-
XML Sitemap – সার্চ ইঞ্জিনকে পেজগুলো বোঝানোর জন্য ম্যাপ
-
Robots.txt – কোন পেজ গুগলকে দেখানো হবে বা হবে না তা নিয়ন্ত্রণ
-
Canonical Tags – কনটেন্টের ডুপ্লিকেট যেন না ধরে Google
-
Structured Data (Schema Markup) – Google-কে বাড়তি তথ্য দেওয়া
➤ যেমন রেটিং, রেসিপি টাইম, FAQ ইত্যাদি দেখানো যায়।
সংক্ষেপে পার্থক্য:
ধরন | কাজের এলাকা | উদ্দেশ্য |
---|---|---|
On-Page SEO -- | সাইটের ভেতরের বিষয় -- | কনটেন্ট ও কাঠামো উন্নয়ন |
Off-Page SEO -- | সাইটের বাইরের প্রভাব -- | বিশ্বাসযোগ্যতা ও র্যাঙ্কিং বাড়ানো |
Technical SEO -- | সাইটের কারিগরি বিষয় -- | সার্চ ইঞ্জিনের বট যেন ঠিকমতো বুঝে |
SEO কনটেন্টে কীওয়ার্ড মানে হলো তোমার সম্ভাব্য পাঠক বা গ্রাহকরা Google বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনে যা সার্চ করছে। সঠিক কীওয়ার্ড বেছে নিলে তোমার কনটেন্ট Google-এ র্যাঙ্ক পাবে এবং ভিজিটর বাড়বে।
টুল ১: Google Keyword Planner
(গুগলের ফ্রি টুল, Google Ads-এর অংশ)
ব্যবহার পদ্ধতি:
1. একটি Google Ads অ্যাকাউন্ট খুলো
- https://ads.google.com এ গিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলো
- অ্যাড রান না করেও টুল ব্যবহার করা যায়
2. Keyword Planner এ যাও
- “Tools & Settings” > “Keyword Planner”
- এখানে দুটি অপশন থাকবে:
- Discover new keywords (নতুন আইডিয়া খুঁজে বের করা)
- Get search volume and forecasts (সার্চ ভলিউম দেখা)
3. কীওয়ার্ড লিখে সার্চ দাও
উদাহরণ: তুমি যদি "তাহাজ্জুদ নামাজ" নিয়ে কনটেন্ট বানাতে চাও, তাহলে এটাই লিখো।
4. ডেটা বিশ্লেষণ করো
- Average monthly searches = কত মানুষ এটি সার্চ করে
- Competition = কত প্রতিযোগিতা (Low, Medium, High)
- Top of page bid = বিজ্ঞাপনে দাম (যত বেশি, তত লাভজনক কীওয়ার্ড)
5. সঠিক কীওয়ার্ড বেছে নাও
- যারা বেশি সার্চ করে, এমন কীওয়ার্ড (High Volume)
- কম প্রতিযোগিতা (Low Competition)
- কনটেন্টের সাথে মিল আছে এমন শব্দ
টুল ২: Ubersuggest (by Neil Patel)
এটি একটি সহজ ইউজার-ফ্রেন্ডলি ফ্রি ও পেইড টুল
ব্যবহার পদ্ধতি:
1. সাইটে যাও:
2. কীওয়ার্ড লিখো:
যেমন: “IELTS preparation in Bangladesh” লিখে সার্চ দাও
3. রেজাল্ট বিশ্লেষণ করো:
Search Volume = প্রতি মাসে কতবার সার্চ হয়
-
SEO Difficulty (SD) = অর্গানিক র্যাঙ্কে আসার কষ্ট
-
Paid Difficulty (PD) = বিজ্ঞাপনের প্রতিযোগিতা
-
CPC = কত টাকা প্রতি ক্লিক (এটা বুঝতে সাহায্য করে এটা কত লাভজনক)
4. Keyword Ideas বা Related Keywords দেখো
-
এখানে Ubersuggest তোমাকে বিকল্প কীওয়ার্ড আইডিয়া দেবে
➤ যেমন: “IELTS tips”, “IELTS exam preparation”, ইত্যাদি
5. Content Ideas ট্যাব দেখো
-
কোন কোন কনটেন্ট এই কীওয়ার্ডে র্যাঙ্ক করছে, সেটা দেখাবে
-
তাদের শিরোনাম ও কত শেয়ার বা ব্যাকলিংক আছে তা দেখে অনুপ্রেরণা পাবে
বিষয় | লক্ষ্য রাখা দরকার |
---|---|
রিলেভেন্স = | তোমার কনটেন্টের সাথে সম্পর্ক আছে কিনা |
সার্চ ভলিউম = | অনেক মানুষ সার্চ করছে এমন শব্দ |
কনটেন্ট ইন্টেন্ট = | পাঠক কেন সার্চ করছে – তথ্য, কেনাকাটা, বা সেবা |
SEO Difficulty = | র্যাঙ্ক করতে কষ্ট কম এমন শব্দ |
LongTail = Keywords | ছোট ও নির্দিষ্ট শব্দ (যেমন: “IELTS preparation for beginners”) – এগুলো র্যাঙ্ক করতে সহজ |
একটি উদাহরণ:
তুমি যদি কনটেন্ট লেখো “বাংলাদেশে IELTS প্রস্তুতির টিপস” নিয়ে, তাহলে:
Google Keyword Planner ব্যবহার করে:
খোঁজো: "IELTS in Bangladesh"
দেখো: কোন কীওয়ার্ডে বেশি সার্চ হয়
বেছে নাও: Low Competition + High Relevance কীওয়ার্ড
Ubersuggest ব্যবহার করে:
খোঁজো: "IELTS preparation"
দেখো: SEO Difficulty, Volume, Related Keyword
inspiration নাও: যেসব ব্লগে এই টপিকে ট্রাফিক বেশি
উপসংহার:
টুল | প্রধান কাজ |
---|---|
Google Keyword Planner = | ভলিউম, প্রতিযোগিতা ও বিজ্ঞাপন টার্গেটিং |
Ubersuggest = | কীওয়ার্ড আইডিয়া, প্রতিযোগিতা ও কনটেন্ট আইডিয়া |
Title Tag (টাইটেল ট্যাগ):
টাইটেল ট্যাগ হলো ওয়েবপেজের শিরোনাম যা গুগল সার্চ রেজাল্টে এবং ব্রাউজারের ট্যাবে দেখা যায়।
উদ্দেশ্য: পেজটি কী সম্পর্কে তা সার্চ ইঞ্জিন ও ভিজিটরদের জানানোর জন্য।
কেমন হওয়া উচিত:
৫০–৬০ অক্ষরের মধ্যে রাখো
গুরুত্বপূর্ণ কীওয়ার্ড যুক্ত করো
ইউনিক এবং আকর্ষণীয় হতে হবে
উদাহরণ:
খারাপ: "Home"
ভালো: "সেরা মোবাইল ফোন ২০২৫ – কম দামে ভালো ফোন"
Meta Description (মেটা ডিসক্রিপশন):
এটি হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনে টাইটেল ট্যাগের নিচে যে ছোট বিবরণ দেখা যায়, সাধারণত ১৫০–১৬০ অক্ষরের মধ্যে।
উদ্দেশ্য: ভিজিটরদের ওয়েবসাইটে ক্লিক করতে উৎসাহিত করা।
কেমন হওয়া উচিত:
সংক্ষেপে ও স্পষ্টভাবে পেজের বিষয়বস্তু জানাবে
কীওয়ার্ড ব্যবহার করা ভালো
আকর্ষণীয় ভাষায় CTA (Call to Action) থাকলে ভালো হয়
উদাহরণ:
"২০২৫ সালের সেরা স্মার্টফোনগুলোর তালিকা দেখুন এবং আপনার বাজেটের মধ্যে সেরা ফোনটি বেছে নিন!"
Headings (H1 - H6):
এইচ১ থেকে এইচ৬ পর্যন্ত হেডিং হলো ওয়েবপেজের লেখার বিভিন্ন স্তরের শিরোনাম।
উদ্দেশ্য: কনটেন্টকে গঠনমূলকভাবে সাজানো ও SEO বান্ধব করা।
কিভাবে ব্যবহার করব:
H1: পেজের প্রধান শিরোনাম (প্রতি পেজে একটি মাত্র)
H2: বড় বড় সাব-টপিক
H3–H6: আরও ছোট ছোট উপ-বিষয়
Internal Linking (ইন্টারনাল লিঙ্কিং):
একটি পেজ থেকে একই সাইটের অন্য পেজে লিঙ্ক দেওয়া।
উদ্দেশ্য:
ইউজারদের আরও কনটেন্টে নিয়ে যাওয়া
গুগলের বটকে ওয়েবসাইট বুঝতে সাহায্য করা
SEO ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বাড়ানো
উদাহরণ:
"আরও পড়ুন: সস্তায় ল্যাপটপ কেনার টিপস"
Image Alt Text (ইমেজ অল্ট টেক্সট):
ছবির বিকল্প টেক্সট যা SEO-তে সহায়তা করে এবং ভিজ্যুয়ালি ইম্পেয়ার্ড (দৃষ্টিহীন) ইউজারদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
উদ্দেশ্য:
ছবির বিষয়বস্তু সার্চ ইঞ্জিনকে জানানো
ছবি না লোড হলে বিকল্প হিসেবে টেক্সট দেখানো
ইমেজ SEO ভালো হয়
উদাহরণ:
<img src="phone.jpg" alt="স্যামসাং গ্যালাক্সি এম৩২ স্মার্টফোন">
গেস্ট পোস্টিং মানে হলো অন্য কারো ব্লগ বা ওয়েবসাইটে মানসম্পন্ন একটি আর্টিকেল লিখে দেওয়া এবং সেই লেখার ভেতরে নিজের ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া।
উপকারিতা:
-
মানসম্মত ব্যাকলিংক পাওয়া যায়
-
ট্রাফিক বাড়ে
-
ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি হয়
কিভাবে করবো:
-
নিজের নিস (niche)-এর ব্লগ খুঁজো
-
“Write for Us” / “Guest Post Guidelines” পেজ থাকলে দেখো
-
যোগাযোগ করে পোস্ট জমা দাও
-
আর্টিকেল ইউনিক ও তথ্যপূর্ণ হতে হবে
উদাহরণ গুগল সার্চ টিপস:
your niche + "write for us"
tech blog + "submit guest post"
Blog Commenting (ব্লগ কমেন্টিং):
অন্য ব্লগে গিয়ে কমেন্ট করা, যেখানে নিজের ওয়েবসাইটের নাম বা লিংক দেওয়া হয়।
উপকারিতা:
-
রিলেভেন্ট ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক পাওয়া যায়
-
রিলেশন তৈরি হয়
-
কিছুটা ট্রাফিকও আসতে পারে
কিভাবে করবো:
-
নিজের নিস-সম্পর্কিত ভালো ব্লগ খুঁজো
-
মানসম্মত কমেন্ট করো (ভালো মতামত বা প্রশ্ন)
-
কমেন্টে নামের সাথে ওয়েবসাইট লিংক দেওয়া যায় (যদি অনুমতি থাকে)
কিন্তু স্প্যাম কমেন্ট কখনো কোরো না, এতে ওয়েবসাইটের ক্ষতি হয়।
Forum Posting (ফোরাম পোস্টিং)
বিভিন্ন অনলাইন ফোরাম বা ডিসকাশন সাইটে প্রশ্ন-উত্তর বা আলোচনায় অংশগ্রহণ করে নিজের ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া।
উপকারিতা:
-
ব্যাকলিংক তৈরি হয়
-
নির্দিষ্ট টপিকে অথরিটি বাড়ে
-
টার্গেটেড ট্রাফিক আসে
কিভাবে করবো:
-
Reddit, Quora, StackExchange, এবং নির্দিষ্ট নিস ফোরাম খুঁজো
-
রেজিস্ট্রেশন করে প্রোফাইলে ও পোস্টে লিংক দাও
-
তথ্যভিত্তিক ও সাহায্যকারী আলোচনা করো
Social Bookmarking (সোশ্যাল বুকমার্কিং):
তোমার ওয়েবসাইট বা ব্লগের লিংক বিভিন্ন সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইটে সাবমিট করা।
উপকারিতা:
-
দ্রুত ইনডেক্সিং
-
ব্যাকলিংক
-
ট্রাফিক আসা শুরু হয়
জনপ্রিয় সাইট:
-
Reddit
-
Mix.com
-
Pocket
-
Slashdot
-
Scoop.it
-
Digg
কিভাবে করবো:
-
সাইটে একাউন্ট খুলো
-
ওয়েবসাইট বা ব্লগ পোস্টের URL সাবমিট করো
-
ট্যাগ এবং ডিসক্রিপশন দাও
ব্যাকলিংক তৈরি করা শেখো (Learn to Create Backlinks)
ব্যাকলিংক হচ্ছে অন্য কোনো ওয়েবসাইট থেকে তোমার ওয়েবসাইটের দিকে আসা লিংক। Google এটাকে ভোটের মতো বিবেচনা করে – যত বেশি ভালো ব্যাকলিংক, তত বেশি র্যাঙ্ক।
ব্যাকলিংক তৈরির মূল টিপস:
- Guest Post
- Blog Commenting
- Forum Posting
- Social Bookmarking
- Profile Backlinks (ফোরাম/ডিরেক্টরিতে প্রোফাইল খুলে)
- Broken Link Building (অন্যদের ডেড লিংক খুঁজে তোমার লিংক সাজেস্ট করা)
- Web 2.0 (Blogger, Medium, WordPress.com ইত্যাদিতে ফ্রি ব্লগ খুলে লিংক দেওয়া)
Website Speed Optimization (ওয়েবসাইট স্পিড অপ্টিমাইজেশন):
ওয়েবসাইট কত দ্রুত লোড হচ্ছে, সেটি Google এবং ভিজিটরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গুগল স্পিড ফাস্ট সাইটকে র্যাঙ্কে অগ্রাধিকার দেয়।
উপকারিতা:
ভিজিটর পেজ তাড়াতাড়ি দেখতে পারে
বাউন্স রেট কমে (মানে, ভিজিটর সাইট ছেড়ে চলে যায় না)
SEO র্যাঙ্ক বাড়ে
কিভাবে স্পিড বাড়াবে:
ছবি কমপ্রেস করো (TinyPNG, ImageOptim)
Cache ব্যবহার করো (WP Rocket, W3 Total Cache)
CDN (Content Delivery Network) ব্যবহার করো (Cloudflare, BunnyCDN)
কম JS/CSS কোড ব্যবহার করো (Minify and combine files)
লাইটওয়েট থিম এবং প্লাগিন ব্যবহার করো
টুলস:
Mobile-Friendliness (মোবাইল ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট):
আজকাল অধিকাংশ ইউজার মোবাইল থেকে ওয়েবসাইট দেখে, তাই তোমার ওয়েবসাইট responsive হওয়া দরকার।
উপকারিতা:
মোবাইলে ভালোভাবে দেখা যাবে
ইউজার এক্সপেরিয়েন্স উন্নত হবে
গুগলের মোবাইল-ফার্স্ট ইনডেক্সিং-এ র্যাঙ্ক বাড়বে
কিভাবে মোবাইল-ফ্রেন্ডলি বানাবে:
Responsive Design ব্যবহার করো (Bootstrap, Tailwind CSS, বা Responsive WordPress Theme)
ফন্ট বড় রাখো, ছোট টেক্সট এড়াও
বাটন ও লিংক মোবাইলে সহজে ট্যাপযোগ্য হওয়া উচিত
Pop-up কম ব্যবহার করো
টেস্ট টুল:
SSL Certificate (HTTPS সিকিউরিটি সার্টিফিকেট)
HTTPS মানে সাইটটি সিকিউরড (secured)। SSL সার্টিফিকেট ইনস্টল করলে URL https://
দিয়ে শুরু হয় এবং ব্রাউজারে লক আইকন দেখা যায়।
উপকারিতা:
ইউজার ও গুগলের কাছে নিরাপদ প্রমাণ হয়
SEO র্যাঙ্কিং ভালো হয়
অনলাইন পেমেন্ট বা লগইন থাকলে নিরাপদ থাকে
গুগল HTTP সাইটকে “Not Secure” দেখায়
কিভাবে SSL ইনস্টল করবে:
অনেক হোস্টিং প্রোভাইডার ফ্রি SSL দেয় (যেমন Let’s Encrypt)
চাইলে পেইড SSL কিনে ইনস্টল করা যায় (Comodo, Sectigo, GoDaddy ইত্যাদি)
WordPress হলে প্লাগিন দিয়েও করা যায় (Really Simple SSL)
Schema Markup (স্কিমা মার্কআপ)
Schema হলো একটি বিশেষ কোড (structured data) যা গুগলকে বলে দেয় তোমার কনটেন্ট কী সম্পর্কে। এর মাধ্যমে গুগল রিচ রেজাল্ট (Rich Snippets) দেখাতে পারে।
উপকারিতা:
সার্চ রেজাল্টে তারকা রেটিং , প্রাইস , ইভেন্ট ইত্যাদি দেখাতে পারে
ক্লিক বাড়ে (CTR বাড়ে)
সার্চ ইঞ্জিন কনটেন্ট ভালো বুঝতে পারে
স্কিমা ব্যবহারের কিছু উদাহরণ:
Article
Product
FAQ
Review
Event
Recipe
কিভাবে অ্যাড করবে:
Schema Markup Generator দিয়ে কোড বানাও
HTML-এ
<script type="application/ld+json">
দিয়ে স্কিমা কোড বসাওWordPress হলে প্লাগিন ব্যবহার করো (Rank Math, Yoast, Schema Pro)
টেস্ট টুল:
Google Analytics ওয়েবসাইটে কে আসছে, কতজন আসছে, কোথা থেকে আসছে—এসব তথ্য দেয়। এটি মূলত ওয়েবসাইটের ভিজিটর ও তাদের আচরণ ট্র্যাক করতে ব্যবহৃত হয়।
যেসব তথ্য পাওয়া যায়:
Visitors (Users) – দিনে, সপ্তাহে বা মাসে কতজন ইউজার ওয়েবসাইটে আসছে।
Sessions – একজন ভিজিটর কতবার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করছে।
Bounce Rate – ইউজার ওয়েবসাইটে ঢুকে কোনো কিছু না করেই বের হয়ে যাচ্ছে কি না।
Average Session Duration – প্রতিটি ভিজিটর গড়ে কতক্ষণ থাকছে।
Traffic Source – ইউজাররা কোথা থেকে আসছে? Google search? Facebook? Direct visit?
কীভাবে সেটআপ করবে:
https://analytics.google.com/ এ গিয়ে একাউন্ট করো।
ওয়েবসাইটের প্রপার্টি অ্যাড করো।
ট্র্যাকিং কোড (GA4 Tag) কপি করে তোমার ওয়েবসাইটে পেস্ট করো (usually in the
<head>
section)।এরপর থেকে ভিজিটর ডেটা আসতে থাকবে।
Google Search Console (GSC): (ক্লিক ও র্যাংক ট্র্যাক করার টুল ):
Google Search Console হলো এমন একটা টুল যেটা তোমার ওয়েবসাইট Google-এ কিভাবে পারফর্ম করছে সেটা দেখায়। এটা মূলত সার্চ রেজাল্টে তোমার ওয়েবসাইটের performance ট্র্যাক করে।
যেসব তথ্য পাওয়া যায়:
Clicks – Google search থেকে কতজন তোমার ওয়েবসাইটে ক্লিক করছে।
Impressions – তোমার ওয়েবসাইট কতবার Google search result-এ দেখা গেছে।
Average CTR (Click-Through Rate) – কতজন দেখা দেখে ক্লিক করছে।
Average Position (Rank) – তোমার ওয়েবসাইট কোন কীওয়ার্ডে গড়ে কত নাম্বারে (position) আছে।
Which keywords – কোন কোন সার্চ কিওয়ার্ডে তুমি র্যাংক করছো।
কীভাবে সেটআপ করবে:
https://search.google.com/search-console এ গিয়ে ওয়েবসাইট অ্যাড করো।
ডোমেইন ভেরিফাই করো (DNS verification বা HTML tag দিয়ে)।
ভেরিফিকেশনের পর Google তোমার সার্চ ডেটা দেখাতে শুরু করবে (প্রায় ১-২ দিন পর)।
দুইটার পার্থক্য:
দিক | Google Analytics | Google Search Console |
---|---|---|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ব্যবহারিক উপকার:
কোন কনটেন্ট বেশি ট্রাফিক আনছে সেটা জানবে।
কোন কীওয়ার্ডে র্যাংক করছো সেটা বুঝে SEO করতে পারবে।
কোন সোর্সে বেশি ভিজিটর, কোন পেজে মানুষ বেশি সময় দিচ্ছে—এসব জানলে ওয়েবসাইট আরও অপটিমাইজ করা সহজ হবে।
কী ধরনের SEO Update দেয়?
Google-এর algorithm update যেমন: Core Update, Spam Update
Ranking factor নিয়ে deep analysis
SEO best practices (on-page, off-page, technical)
Case study ও SERP trends
কেন Moz Blog পড়বে?
Moz টিম Google এর আপডেটের সময় সবকিছু organize করে blog আকারে দেয়।
নতুনদের জন্য সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করে।
MozCast নামে একটা টুল দিয়ে প্রতিদিন Google এর SERP volatility ট্র্যাক করা যায়।
Follow করার উপায়:
Newsletter subscribe করো আর প্রতি সপ্তাহে ১–২টা গুরুত্বপূর্ণ blog পড়ো।
2. Neil Patel – https://neilpatel.com/blog
কী শেখা যায়?
Google SEO, content marketing, keyword strategy
Google update এর business impact
Traffic drop হলে কীভাবে recover করবে
কেন Neil Patel?
সহজ ভাষায় beginners-friendly guide দেয়।
YouTube video ও infographics দেয় – শেখা সহজ হয়।
Ubersuggest tool দিয়ে keyword ideas, SEO audit করতে পারো।
Follow করার উপায়:
Weekly blog পড়ো, YouTube channel follow করো:
Neil Patel
.তার newsletter বা SEO tips subscription নেওয়া যেতে পারে।
3. Backlinko (Brian Dean) – https://backlinko.com/blog
কী থাকে?
Google ranking factors এর উপরে রিসার্চ
SEO techniques যা actual কাজে আসে
Link building, content strategy, YouTube SEO
Backlinko-এর বিশেষতা:
কম কিন্তু quality content দেয়।
প্রতিটি post অনেক ভালোভাবে research-based।
Brian Dean নিজেই একাধিক SEO experiment করে লিখেন।
Follow করার উপায়:
Backlinko blog-এর newsletter এ join করো।
তার long-form guides bookmark করে রেখো।
Comments
Post a Comment
Thanks dear🥰🥀